সাভার আশুলিয়ার কলতাসুতি নয়াবাড়ী এলাকা থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা যায় গত রবিবার থেকে শিশু সামিয়া আক্তার (৫) নিখোঁজ ছিলো।
মঙ্গলবার (১৭মে) সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়ার কলতাসুতি নয়াবাড়ি এলাকার একটি জঙ্গল থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকালে শিশুটির পরনে কোন বস্ত্র ছিল না। এবং তার গলায় গেঞ্জি পেচানো অবস্থায় ছিল। নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসময় পুলিশ বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্তে করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত শিশু সামিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার ঝাটিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে। বর্তমানে তারা আশুলিয়ার কলতাসুতিতে আব্দুল মালেকের বাড়িতে ভাড়া থাকত।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশুটি কলতাসুতি নয়াবাড়ি এলাকায় বাবা ও মায়ের সাথেই থাকত। বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন ও মা পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বাবা-মা কাজের প্রয়োজনে রবিবার (১৫ মে) প্রতিদিনের মত কর্মস্থলে চলে যান, বিকালে কাজ থেকে ফিরে এসে শিশু সামিয়াকে বাসায় না দেখতে পেয়ে খুজতে থাকেন।
পরে এদিক-সেদিক খোঁজাখুঁজি করে শিশুটির সন্ধান পাওয়া না গেলে স্বজনরা গতকাল আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে।
পরে আজ সকালে স্থানীয়রা ওই শিশুটির ভাড়া বাসার অদূরে একটি ঝোপের মধ্যে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, শিশুটিকে শ্বাস রোধে হত্যা করে ঝোপরে মধ্যে লাশ ফেলে দিয়েছে। বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় খালেকুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ঝোপের মধ্যে শিশুর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। হত্যাকারী লাশ গুম করতেই জঙ্গল ফেলেছে। এ ছাড়া প্রথমিকভাবে সুরহাতালে ধর্ষণের কোনো আলামত পাইনি। তবু আমরা পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছি। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।