27.9 C
Rajbari
শনিবার, জুন ১০, ২০২৩
Homeজাতীয়ঢাকা বিভাগমামলা করে আতঙ্কে ভুক্তভোগী, ভয়ে ছেলের লেখাপড়া বন্ধের পথে

মামলা করে আতঙ্কে ভুক্তভোগী, ভয়ে ছেলের লেখাপড়া বন্ধের পথে

আশুলিয়া (ঢাকা) সাভারের আশুলিয়ায় মাইনুল হোসেন মন্টু নামের এক মুদি দোকান ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার মামলায় জামিনে এসে আবারও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এ ঘটনায় মাইনুল হোসেন মন্টু থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

রবিবার (২১ আগস্ট) সকালে জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসলামুজ্জামান।

এরআগে গত ৬ আগস্ট আশুলিয়ার পলাশবাড়ী বটতলা এলাকায় মাইনুল ইসলাম মন্টুকে পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার উদ্যেশে বেধরক মারধার করেন অভিযুক্তরা। এ সময় ভুক্তভোগীর নিকটে থাকা নগদ ৩ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। এ ঘটনার পরের দিন ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার জসিম উদ্দিন (৪০) ও ফাহিম (২৮)।

ভুক্তভোগী মাইনুল ইসলাম মন্টু ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার উত্তর চেচরি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান হাওলাদারের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় বাসা বাড়া থেকে মুদির দোকান করতেন বলে জানা যায়।

জিডি সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তরা জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের ভয়ে ভূক্তভোগীর নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের লেখা পড়া প্রায় বন্ধের দিকে। তাই তিনি বাধ্য হয়ে জান-মালের নিরাপত্তা সহ এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

হামলার শিকার ভুক্তভোগী মাইনুল ইসলাম মন্টু বলেন, অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন (৪০) ও ফাহিম (২৮) হত্যার উদ্যেশে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলায় চালায় এবং আমাকে বেধরক মারপিট করেন। পরে আমার নিকট থাকা নগদ ৩ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা আমার নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলেকেও মারধর করে। পরে আমাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়া এগিয়ে আসলে তারা আমাকে প্রাণনামের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে এবং আমার ছেলে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তরা সেই মামলায় জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে আমাকে এবং আমার ছেলেকে হুমকি প্রদান করছে। এখন আমরা অনেকটা অসহায় জীবন যাপন করছি। তাদের ভয়ে আমার ছেলের পড়া-লেখা প্রায় বন্ধের দিকে। আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা। আমরা আতঙ্কে আছি। আমার এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন বলেন, মারামারি হয়েছে সত্য কথা। আমরা তাদের মারছি, তারা আমাদের মারছে। পরে তারা মামলা দিছে, আমরা জামিনে এসেছি। কিন্তু জামিনে এসে কোনো হুমকি-দামকি দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসলামুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments