27.6 C
Rajbari
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Homeজাতীয়ঢাকা বিভাগগণপিটুনিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা

গণপিটুনিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে তিন ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় এক স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

ওই ছাত্রের নাম জুনায়েদ (১৩)। সে ৯৬নং ইলমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার রোল নম্বর ৩৮।

গত ১৯ জানুয়ারি হাবিবুর রহমান হবু নামে একজন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলাটি করেন। মামলায় জুনায়েদকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া এ মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচজন ও অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় জুনায়েদের বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ২৬ বছর। জন্ম সনদের তারিখ উল্লেখ রয়েছে ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর। সে স্থানীয় হাইজাদী ইউনিয়নের ইলমদী এলাকার মৃত ইব্রাহিমের ছেলে।

এ ঘটনায় সোমবার স্কুল শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন বস্তুল এলাকার হাবিবুর রহমান হবুর ছেলে জহিরুল হক ওরফে জেসনো, একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মফিজুল হোসেন ও আড়াইহাজার উপজেলার সেন্দী মাধবদী এলাকার মোসলেমের ছেলে নবী লেগুনা গাড়িতে করে শ্রমিক আনা-নেওয়া করতেন।

গত ১৩ জানুয়ারি ভোর ৫টার দিকে ইলমদী বাজারে গেলে মামলার ১ নম্বর আসামি স্থানীয় আপরদী এলাকার সমুর ছেলে মফিজ উদ্দিন কৌশলে ওই তিনজনকে ডেকে নিয়ে দুটি লেগুনায় তুলে মামলার পাঁচ আসামি মিলে হাতুড়িসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।

পরে তাদের ইলমদীবাগ এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে ডাকাত বলে চিকিৎকার করেন। শ্রমিকবাহী গাড়ি থেকে ডাক-চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি দেন। পরে তারা তিনজনই মারা যায়।

এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় নিহত তিন ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত আরও ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ করে একটি মামলা করেন ওই দিন ডাকাতের হামলার শিকার গাড়িচালক হানিফ নামের এক ব্যক্তি।

মামলায় উল্লেখ করেন, ওই রাতে ডাকাত দলের সদস্যরা শ্রমিকবাহী লেগুনার ভেতরে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে ৯ নারী-পুরুষ শ্রমিকের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন লুট করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাদের গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেন।

অপরদিকে আড়াইহাজার থানার এসআই আব্দুর রহমান ঢালী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০০-২৫০ জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

এদিকে জুনায়েদের মা সুমী আক্তার বলেন, ছয় মাস আগে আমার স্বামী ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে খুন হন। স্বামী হত্যার মামলা থেকে রেহাই পেতে আসামিরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমার সন্তান জুনায়েদ ও আমার ভাসুর কাইয়ুমের নামে মামলা করেছে।

ওই রাতে তিন ব্যক্তিকে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে কে বা কারা হত্যা করেছে তা আমরা জানি না বলে জানান তিনি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, একই ঘটনায় দুটি মামলা হয় না। তবে নিরীহ লোকজন যাতে কোনো মামলায় হয়রানির শিকার না হন, সেটি আমরা লক্ষ্য রাখব। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments