ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশের ১৩ তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
একই সঙ্গে চার কমিশনারকেও নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
অপর চার কমিশনার হলেন, জেলা ও দায়রা জজ (অব.) বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার (অব.) আহসান হাবিব খান, সিনিয়র সচিব (অব.) মো. আলমগীর ও সিনিয়র সচিব (অব.) আনিসুর রহমান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে বের করতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে এর প্রধান করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সবার কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চাওয়া হয়।
পরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু নাম প্রস্তাব করেন।
প্রস্তাবিত ৩২২ জনের নাম গত সোমবার রাতে প্রকাশ করা হয়। তবে প্রস্তাবকারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। নামগুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সর্বশেষ ইসির মেয়াদ গত সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে।