নিজস্ব প্রতিবেদক রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তর্কের জেরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ও এডিসি হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা কলেজসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমন্বয়ক ইসমাইল সম্রাট নীলক্ষেত মোড়ে এক লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো হোস্টেল ও ক্যাম্পাস খোলা রেখে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ অব্যাহত রাখতে হবে, আহতদের সব চিকিৎসা রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করতে হবে এবং সাংবাদিক ও অ্যাম্বুলেন্সে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।
মঙ্গলবার সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে তারা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। ছাত্রদের অনেকে হেলমেট পরে এবং লাঠি হাতে নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। ব্যবসায়ী-কর্মচারীরাও লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো শুরু করেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে গোটা নিউ মার্কেট ও সায়েন্সল্যাব এলাকায়। থেমে থেমে সারাদিন চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী এবং প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী-কর্মচারী আহত হন। দুই শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়া কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী নাহিদ হোসেন মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে।
সংঘর্ষের খবর সংগ্রহে গিয়ে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের হামলায় আহত হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের অন্তত ১০ জন সাংবাদিক।