40.9 C
Rajbari
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
Homeরাজবাড়ীগোয়ালন্দে অজ্ঞাত বৃদ্ধকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা

গোয়ালন্দে অজ্ঞাত বৃদ্ধকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা

শামীম শেখঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে অজ্ঞাত পরিচয়ধারী (৭০) এক বৃদ্ধকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা।

শনিবার সকাল ১০ টার দিকে পুলিশ গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত এফকে টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের বারান্দা হতে ওই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

এ সময় তার কাছে পলিথিনে মোড়ানো ভিক্ষে করা বেশকিছু টাকা ঠিকঠাক অবস্থায় ছিল।

স্হানীয় কয়েকজন বলেন, সন্ধ্যার পর হতে এ এলাকায় মাদক সেবিদের ব্যাপক আড্ডা জমে।দূরদূরান্ত হতে অনেকে মোটর সাইকেল নিয়ে এ এলাকায় এসে আড্ডায় লিপ্ত হয়। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। তবে মাদক সেবিদের কেউ এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে নাকি সে পূর্ববর্তী কোন শত্রুতার শিকার হয়েছেন সে সম্পর্কে তাদের কোন ধারনা নেই।

স্হানীয় যুবক জালাল আহমেদ, সোহাগ প্রামানিক, শাহরিয়ার মৃদুল, তন্ময় আহমেদ সহ কয়েকজন জানান, তারা সকাল সারে ৯ টার দিকে পাশ্ববর্তী সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজ মাঠে অবস্থান করছিলেন।এ সময় স্হানীয় কয়েকজন ছোট বাচ্চা দৌড়ে এসে তাদেরকে এফকে টেকনিক্যাল কলেজের বারান্দায় বৃদ্ধের লাশ পড়ে থাকার কথা জানায়।আমরা তৎক্ষনাৎ সেখানে গিয়ে লাশের বিভৎস অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে যাই।

এ সময় কিছু বুঝে উঠতে না পেরে তারা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ঘটনা জানান।এর কিছুক্ষন পর গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আমরাও পুলিশের সাথে সাথে হাসপাতালে যাই।

তারা বলেন, প্রায় ১ মাস ধরে এই বৃদ্ধ ওই কলেজের বারান্দায় থাকেন।ওখানেই রাতে ঘুমান।যে যা দেয় তাই খান। তবে তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।

শারিরীকভাবেও একেবারে দূর্বল ছিলেন। তারমতো একজন বৃদ্ধকে এভাবে নির্মমভাবে কুপিয়ে কে বা কারা কেনইবা হত্যা করবে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহ মোঃ শরিফ জানান,মৃত বৃদ্ধের মাথায়, কপালে ও বুকে ধারালো অস্ত্রের ৩ টি গভীর আঘাত রয়েছে। এ রকম একজন দূর্বল বৃদ্ধকে এভাবে হত্যা করা খুবই নির্মমতার কাজ বলে তিনি জানান।

তিনি আরো জানান, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গেছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments