মো. সাজ্জাদ হোসেন-গোয়ালন্দ প্রতিনিধি
গোয়ালন্দ সান-সাইন কলেজিয়েট স্কুলের ১১ শিক্ষার্থী ও ভ্যান চালক দুর্ঘটনার কবল থেকে প্রাণে বেঁচে গেলো।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোয়ালন্দ সান-সাইন কলেজিয়েট স্কুল ভ্যানকে পিছন থেকে প্রমিত নামক কুষ্টিয়া লোকাল বাসটি সজোড়ে ধাক্কা দেয়। সে সময় স্কুল ভ্যানটি দুমড়ে মুচড়ে পরে যায়।
সোমবার(১১ এপ্রিল) বেলা ১.৩০ মিনিটের সময় এ ঘটনাটি ঘটে। ভ্যানে থাকা ১১ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি না হলেও সব শিশুসহ ভ্যান চালকের শরীরের অনেক জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং শিশুরা চরম ভাবে ভয় পেয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গোয়ালন্দ সান-সাইন কলেজিয়েট স্কুলের ভ্যানটি আস্তে আস্তে দৌলতদিয়ার দিকে যাচ্ছিলো এসময় পিছন থেকে দ্রুত গতিতে আসা প্রমিত লোকাল বাস যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো ব ০২-০৩২৯, এসে স্কুল ভ্যানটিকে চাপ দিলে ঘটনা স্থলেই ভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ভ্যানে থাকা ১১শিক্ষার্থীর তেমন কোন ক্ষতি হয়নি তবে তারা চরম ভাবে ভয় পেয়েছে। এই মহাসড়কটি এক পাশ দিয়েই গাড়ি যাওয়া-আসা করাতে বেশি বেশি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। মহাসড়টি
যেনো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সান-সাইন কলেজিয়েট স্কুলের ভ্যানে থাকা এক ছাত্র মো. নাফিজুর রহমান বলেন, বাসটি আমাদের স্কুল ভ্যানটিকে ওভারটেক করতে গেলে বাসের সামনে একটি মাইক্রোবাস চলে আসায় সেসময় কোন কিছু না বুঝার আগেই বাসটি আমাদের স্কুল ভ্যানটিকে চাপ দেয়।
সে সময় স্কুল ভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে সবার গার্ডিয়ান কে ফোন করে। গার্ডিয়ান এসে ছেলে মেয়েকে নিয়ে যায়।
সান-সাইন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুরতাজ আলম রবিন বলেন, আল্লাহর রহমতে আজ অল্পের জন্য আমার ১১ জন ছাত্র-ছাত্রী দুর্ঘনার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে গেলো। ঢাকা খুলনা মহাসড়কটিতে বড় গাড়িগুলো বেপরোয়াভাবে চলাচল করার কারণে মাঝে মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে।
বিশেষ করে এসব বড় গাড়ির চালকদের স্কুল ভ্যান গুলোর প্রতি সুনজর রাখা দরকার। তবে আমরা চিন্তা করছি স্কুল ভ্যান গুলো বাদ দিয়ে নতুন করে চার চাকার লেগুনা গাড়ি দিয়ে স্কুল ভ্যানে ছাত্র-ছাত্রী আনা-নেয়া করবো।