29.5 C
Rajbari
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Homeজাতীয়চট্টগ্রাম বিভাগচট্টগ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ নিহত ২১

চট্টগ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ নিহত ২১

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা আগুনে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ জন ফায়ার সার্ভিসকর্মী মৃত্যু বরণ করেছেন।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইনউদ্দিন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

রোববার (৫ জুন) সকালে তাদের লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন ফায়ারকর্মী। আহতদের চট্টগ্রাম সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সামরিক-বেসামরিকসহ মোট ২১ জনের মৃত্যু সংবাদের কথা নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন মাধ্যম।

ফায়ারের মহাপরিচালক জানান, কন্টেইনারগুলো কেমিক্যালে পূর্ণ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সময় লাগছে। আর এ কারণেই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত।

গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে কন্টেইনার ডিপোটিতে আগুন লাগে। ডিপোটিতে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কন্টেইনার ছিল। রাত বাড়ার সাথে সাথে এ আগুনের ঘটনার ভয়াবহতা বাড়ে। তবে এখন আগুনের মাত্রা কমে আসলেও তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

ফায়ারের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের জানান, এতবড় অগ্নিকাণ্ড হলেও মালিকপক্ষের কারো উপস্থিতি ঘটনাস্থলে তারা লক্ষ করছেন না। তাদের সাথে যোগাযোগ না থাকা একপ্রকার জটিলতা তৈরি করছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, কন্টেইনার ডিপোতে দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপালের পাশাপাশি আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনার কারণে চট্টগ্রামের সকল চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর সকল চিকিৎসককে হাসপাতালে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। পাশাপাশি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালেও দগ্ধদের চিকিৎসা সেবা দিতে বলেছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়।

এসময় আগুনে পোড়া আহত রোগীদের রক্তের প্রয়োজনে চট্টগ্রামের হাজার হাজার রক্তদাতা চট্টগ্রাম মেডিকেলে উপস্থিত আছে, এবং চট্টগ্রামের সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকেরা সারারাত আহতদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।

এই প্রসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিটিজি ব্লাড ব্যাংকের এডমিন ফরহাদ মাহমুদ কাউছার বলেন, আমরা যখনই খবরটি জানতে পারি সাথে সাথে আমাদের সকল সদস্যদের রক্তদানে ও যেকোন প্রয়োজনে তাদের প্রস্তুত থাকতে বলি। আমরা সারারাত মেডিকেলে উপস্থিত থেকে রক্তদাতা যোগাড়সহ আহতদের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম।

এসময় তিনি আরও বলেন আহতদের সেবায় ও রক্তদাতা যোগাড় করতে চট্টগ্রামের সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা উপস্থিত ছিলেন এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করতেছেন।

কনটেইনার ডিপোটিতে এখনও কিছুক্ষণ পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে চার কিলোমিটার দূরেও শোনা গেছে কোনো কোনো বিস্ফোরণের শব্দ। বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকার বিভিন্ন ভবনের কাচ ভেঙে গেছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments