ডেস্ক রিপোর্টঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের একদিন পরও পুরোপুরি নেভেনি আগুন। ডিপোতে থেমে থেমে জ্বলছে আগুন, উঠছে ধোঁয়া। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, রাসায়নিকের কনটেইনারগুলো সরিয়ে নেয়ায় এখন আর বড় কোনো ঝুঁকি নেই।
এদিকে শেষ খবর পর্যন্ত ৯ ফায়ার সার্ভিসকর্মীসহ এ আগুনে মারা গেছেন ৪৯ জন, আহত অন্তত তিনশ। সেখানে উদ্ধার তৎপরতায় ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে রয়েছেন সেনা সদস্যরা।
সরেজমিন দেখা যায়, শনিবার রাতে লাগা আগুনে পুড়ে পুরোপুরি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে শীতলপুরের এই কনটেইনার ডিপো। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পুড়ে খাক নানা সরঞ্জাম। আশপাশের কয়েকটি কনটেইনার থেকে বের হচ্ছে ধোঁয়া। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ওপর থেকে এসব কনটেইনারে পানি ছিটাচ্ছেন।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মনির হোসেন জানান, হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কন্টেইনারগুলো সরিয়ে নেয়ায় আগুন আর ছড়িয়ে পড়বে না। তবে, কনটেইনারগুলোর ভেতরে পানি দিতে না পারায় আগুন পুরোপুরি নিভছে না।
এছাড়া সেখানকার রাসায়নিক যেন সাগরে না পৌঁছায়, তা নিয়ে কাজ করছে সেনাবাহিনী। ডিপো সংশ্লিষ্টরা সহায়তা করলে আগুন দ্রুত নেভানো যেত বলেও মনে করছেন তারা।
এদিকে নিহতদের পরিবার-প্রতি ১০ লাখ টাকা করে দেয়ার কথা জানিয়েছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে দুই লাখ টাকা আর আহতদের পরিবারকে দেয়া হবে ৫০ হাজার করে টাকা।
শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে আগুন লাগে এই কন্টেইনার ডিপোতে। এর এক পর্যায়ে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের কন্টেইনারে একর পর এক হয় বিস্ফোরণ, কেঁপে ওঠের এর আশপাশের চার কিলোমিটার এলাকা।