মো. সাজ্জাদ হোসেন-গোয়ালন্দ প্রতিনিধি
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নদী পারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২০শে জুন) সকাল থেকে ঘাটের জিরো পয়েন্ট হতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৪ কিলোমিটার ও গোয়ালন্দ মোড়ের প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকার সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়াল দেখা যায়।
এতে পঁচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক চালক এবং যাত্রীবাহী বাসের চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হঠাৎ ফেরি ভাড়া বৃদ্ধি করায় চালকদের দুর্ভোগ আরও দ্বিগুন হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায় এবং একাধিক ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় এক মাস যাবৎ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০ থেকে ২১ টি ছোট-বড় ফেরি চলাচল করে।
বেশ কয়েক দিন উভয় পারের ঘাটগুলো স্বাভাবিক ছিল। আর এ কারণে দীর্ঘ এক মাস যাবৎ দুর্ভোগ বিহীন ফেরি পারাপার হয়েছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহারকারী চালক ও যাত্রীরা।
কিন্তু হঠাৎ পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত এবং ৪ রোরো (বড়) ফেরি বিকল হওয়ার কারণে উভয় পারের যানবাহনের দীর্ঘ সারি লক্ষনীয়। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী পরিবহনের দুইটি সারি রয়েছে।
প্রতিটি পণ্যবাহী ট্রাককে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরির নাগাল পেতে। দীর্ঘ এ সময় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন চালক ও তার সহযোগীরা।
সময়মতো মালামাল পরিবহন করতে না পেরে বিপাকে পরছেন তারা। এছাড়া দীর্ঘ সময় নদী পারের অপেক্ষায় আটকে থেকে বেড়ে যাচ্ছে খরচ।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, পদ্মার তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
স্রোতের কারণে কমেছে ফেরির ট্রিপ সংখ্যাও। যে কারণে ঘাট এলাকায় কিছুটা যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
এই রুটে বর্তমানে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত চাপ অনেকটা কমে যাবে।