চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন চট্টগ্রামের মন্ত্রী এমপি ও নেতারা যদি হাসপাতাল না চান তাহলে তো প্রধানমন্ত্রী চাইবেন না। রেল মন্ত্রণালয়ও সেটার বিরুদ্ধে যেতে পারবে না।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে যেহেতু পিপিপিতে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেহেতু রেলওয়ের সিদ্ধান্ত দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এই বিষয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিবেন, সেটাই হবে
তিনি বলেন, সিআরবিতে হাসপাতালের নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির আওতায়।
যখনই মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয় তখনই পাল্টাপাল্টি অভিযোগগুলো আমাদের কাছে এসেছে। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি কখন দেওয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বেশিরভাগ সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকছে। ট্রেন চালানো যাচ্ছে না। অর্ধেক আসনে যাত্রী ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে একমাত্র ট্রেনই চলাচল করছে। আর কোনও পরিবহন খাত এটি মানছে না। আমি চেষ্টা করছি দ্রুত ওই রুটে নতুন ট্রেন দেওয়ার। ছাত্রনেতা ছিলাম, তাই ছাত্রদের প্রতি ভালোবাসা টান আমার বেশি।
মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, কালুরঘাট রেল সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশার কাজ চলছে। বর্তমানে সেতুর উচ্চতা ৪.৬ মিটার। নৌ-যান চলাচলের জন্য এটি ১২.২ মিটার উচ্চতায় নির্মাণ করতে হবে।
এর আগে রেলওয়ে স্টেশনে অব্যবস্থাপনা দেখে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শামস মো. তুষার ও স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন রেলমন্ত্রী।