১০ আগষ্ট বুধবার বিকেলে রাজবাড়ী জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১২ আগষ্ট শুক্রবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
নির্বাচন কমিশনার ও শিক্ষক নেতা মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শোকের মাস হওয়ায় এবং নির্বাচন নিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের অভিযোগ থাকায় মাননীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে এ নির্বাচনের ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ৩২ জন শিক্ষক গত ৩১ জুলাই রাজবাড়ী -১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা মুন্সি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেনের নিকট এ নির্বাচন নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৩২ জন শিক্ষককে সুকৌশলে ভোটার তালিকা হতে বাদ দেয়া হয়। সেইসাথে পাতানো নির্বাচনের প্রায় সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন সংগঠনের সদ্য বিদায়ী সভাপতি মোঃ বাবর আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমান।
যে কারনে আমরা ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিল করা,বাদ পড়া সকল শিক্ষকের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং পুনরায় তফসিল ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।
সহকারী শিক্ষক জহুরুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ সরদার, মনিরুজ্জামান মনির,সাত্তার হোসেন,সুজিত কুমারসহ অনেকেই বলেন,তাদের মধ্যে অনেকেরই সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ রয়েছে। সমিতির আইন ও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তাতে কোন বাঁধাও নেই।কিন্তু তারা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে তাদের সিন্ডিকেটের বাইরের কোন শিক্ষককে মনোনয়ন ফরম দেননি। সেইসাথে ৩২ জন শিক্ষককে সম্পূর্ণ অন্যায় ও পরিকল্পিতভাবে ভোটার তালিকা হতে বাদ দেয়া হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে এ ধরনের প্রকাশ্য মতবিরোধ কাম্য নয়।আমি চেষ্টা করব আগামীতে শিক্ষকদের মধ্যেকার বিরোধ দূর করে এক্য বজায় রাখতে।