বিশেষ প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ১২ বছর পর সিজারিয়ান সেকশন শুরু হল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এই দীর্ঘ সময়ে এখানে কোন সিজার অপারেশন হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন এর সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে এবং ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, গোয়ালন্দ ও রাজবাড়ীর নেতৃত্বে এই অপারেশন হয়।
আজ সোমবার (১৫ আগষ্ট) দুপুর দেড়টার দিকে মাতা শারমিন আক্তার ও পিতা আমানত মোল্লার একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ও শিশু রাসেলের সঙ্গে নামের মিল রেখে নাম রাখা হয় শাহাদাত হোসেন রাসেল। নামটি রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল হক শামীম জানান, কোন প্রসূতি মায়ের অবস্থায় অবনতি হলে বা সিজারের প্রয়োজন হলে আগে আমাদের জেলা শহর যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন উপায় ছিল না। বর্তমানে আমাদের হাতের নাগালে এ ব্যবস্থা চালু করায় কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সিজারিয়ান সেবা আমাদের হাসপাতালে পাওয়া যাবে। এ ব্যবস্থা আরও বেগবান করতে ও মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সিজার সেবায় সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তিনি আরো জানান, উপজেলা পর্যায়ে প্রসূতি মায়েদের জন্য সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা খুবই সীমিত। তাছাড়া এখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালের দূরত্ব ও অনেক। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকার পরেও আমরা সিজারিয়ান চালু করতে পেরেছি সেটাই আমাদের কাছে আনন্দের ব্যাপার। এই সেবা চালমান রাখতে আমি আমার জায়গা থেকে কাজ করে যাব।
অপারেশন টিমে ছিলেন ডা. তৃপ্তি সরকার , জুনি. কনসালটেন্ট (গাইনি এন্ড অবস), ডা. প্রদীপ কান্তি পাল, জুনি. কনসালটেন্ট (এনেস্থেসিয়া), ডা. নাজনীন নাহার নীরা, সহকারী সার্জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স হোসনে আরা।
সহযোগিতায় ছিলেন অন্যান্য মেডিকেল অফিসারগণ, সিনিয়র স্টাফ নার্সগন ও হাসপাতালের সকল স্টাফ।