বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া নদী শাসনের দাবিতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ৫ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় ঢাকা খুলনা মহাসড়কের পাশে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী মটর চালক লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তপুর আয়োজনে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পদ্মা পাড়ের সর্বস্তরের জনগনের আয়োজনে কয়েক’শ লোকের উপস্থিতে ঘন্টা ব্যাপী মানব বন্ধন পালিত হয়েছে।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, আওয়ামী যুবলীগের নেতা আতিয়ার রহমান, গোয়ালন্দ বাজার পরিষদের প্রচার সম্পাদক মো. শহিন শেখ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘শুধু একটি পদ্মা সেতুই সব উন্নয়ন নয়। আমাদের দৌলতদিয়ার মানুষ নদী ভাঙনের দুশ্চিন্তা নিয়ে রাতে ঘুমতে পারে না।’ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় দীর্ঘ বছর ধরে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আমি একটি স্থায়ী সমাধান চাই। শুষ্ক মৌসুমে নদী ভাঙন অব্যাহত ছিল। সামনে বর্ষা।
নদী শাসনের নির্মাণ কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ভাঙনে দৌলতদিয়ার নাম দেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। নদীভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মানববন্ধন শেষে দৌলতদিয়া ৫নম্বর ফেরিঘাটে বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে মানববন্ধন সমাপ্ত করা হয়।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া ঘাট আধুনিকায়নের জন্য লঞ্চ ঘাট ও ৮টি ফেরী ঘাটসহ দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের ৪ কিলোমিটার স্থায়ী নদী শাসনের জন্য ৫১০ কোটি টাকার কাজ করা হবে, যার নকশা অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এ রয়েছে।
উল্লখ্য, গত এক সপ্তাহ যাবত পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে তীব্র স্রোতে ৫ নম্বর ফেরি ঘাটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারনে তিন দিন যাবত ফেরি ঘাট টি বন্ধ রয়েছে। ভাঙন রোধ করতে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে নদী শাসনের একমাত্র ভরসা এই জিও ব্যাগ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এ নকশা অনুমোদনের অপেক্ষায় স্থায়ীভাবে নদী শাসনের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থায়ী নদী শাসন না করায় দৌলতদিয়া ঘাট ও আশপাশের অনেক জায়গা নদী ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে। ৫নং ফেরি ঘাটের কিছু অংশ নদী ভাঙনের কারণে অনেক ব্যবসায়ী ও পরিবারগুলো রয়েছে আতংকে। অনেকে নদীর পার দিয়ে দোকান গুলো অনত্র সরিয়ে নিচ্ছে।