31.3 C
Rajbari
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
Homeআন্তর্জাতিককংগ্রেসের শীর্ষ নেতা বিজেপিতে

কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা বিজেপিতে

ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে এবার বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। এনডিটিভি বলছে, দলটি ছেড়ে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরপিএন সিং যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। গত দুই বছরে কংগ্রেস থেকে এ রকম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জ্যেষ্ঠ নেতা দলত্যাগ করেছেন।

গত কয়েক বছরে কংগ্রেস ছেড়ে বহু নেতাই অন্য দলে নাম লিখিয়েছেন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া থেকে শুরু করে সুস্মিতা দেব, জিতিন প্রসাদ, প্রিয়াংকা চতুর্বেদী এবং ললিতেশপতি ত্রিপাঠীরা একে একে দল ছেড়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেসে থেকে রাজনৈতিক অবস্থান ‘মজবুত’ হচ্ছে না বুঝেই দলত্যাগের হিড়িক পড়েছে।

আরপিএন সিং টুইটারে লিখেছেন- ‘আজ, আমরা আমাদের মহান প্রজাতন্ত্র গঠনের উদযাপন করছি। আমি আমার রাজনৈতিক যাত্রায় একটি নতুন অধ্যায় শুরু করছি। জয় হিন্দ।’ কংগ্রেস সভানেতা সোনিয়া গান্ধীকে উদ্দেশ করে পদত্যাগপত্র লিখে ওই টুইট করেছেন তিনি।

সিং অপর এক টুইটে লিখেছেন- ‘এখন সবাই জানে, এ দেশে একটি মাত্র দল আছে, যা জনগণের কল্যাণে এবং রাষ্ট্রের উন্নয়নে কাজ করে। সেই দলটি হলো- বিজেপি।’

তবে কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা নেতা প্রিয়াংকা গান্ধী বলেছেন, কাপুরুষরা এই লড়াইয়ে টিকতে পারবে না।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, সিংয়ের দলত্যাগের কারণে বিধানসভা ভোটের মুখে গো-বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যে জোর ধাক্কা খেল কংগ্রেস। তবে নির্বাচনী বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, আরপিএন সিংয়ের রাজ্যস্তরে সেভাবে প্রভাব নেই। তার প্রভাবের ক্ষেত্র কুশীনগর লোকসভা কেন্দ্রেই সীমাবদ্ধ, যেটি গোরক্ষপুরের পাশেই। ২০০৯ সালে কুশীনগর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।

তার আগে পাদ্রৌনা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনবার ওই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সিং। ওই কেন্দ্রটিও কুশীনগর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে।

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের একাংশের মতে, সিংয়ের কংগ্রেস-ত্যাগ প্রস্থান রাজনৈতিকভাবে হাত-শিবিরের কাছে বড়সড় ধাক্কা। কারণ সিং কংগ্রেসের ‘জেনারেশন নেক্সট’ নেতাদের মধ্যে অন্যতম। যদিও তার বয়স ৫৭ বছর।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments