34.4 C
Rajbari
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
Homeঅপরাধগোয়ালন্দে মহাসড়কে আটকে থাকা পণ্যবাহী যানবাহনে অস্ত্র ঠেকিয়ে  ডাকাতি

গোয়ালন্দে মহাসড়কে আটকে থাকা পণ্যবাহী যানবাহনে অস্ত্র ঠেকিয়ে  ডাকাতি

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন-গোয়ালন্দ প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানজটে আটকে থাকা পন্যবাহী গাড়িতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার ভোররাত ৩ টার দিকে  গোয়ালন্দ উপজেলার জমিদার ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে গোয়ালন্দ উপজেলা কোর্ট চত্ত্বর এলাকায় স্থাপিত ওজন স্কেল হতে পেছনে জমিদার ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে  যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়।
এ সময় যানজটে আটকে থাকা কয়েকটি পন্যবাহী গাড়ির চালককে ধারালো অস্ত্রের মুখে তাদের কাছে থাকা নগদ অর্থ, মোবাইল ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয় সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল।
সাতক্ষীরা থেকে আসা চট্রগ্রামগামী  ট্রাক চালক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমি শুক্রবার ভোররাত ৩ টার দিকে জমিদার ব্রিজ এলাকায় এসে স্কেলের সিরিয়ালে আটকা পড়ি।
এ সময় প্রস্রাব করতে গাড়ি থেকে নিচে নামা মাত্রই ৫ জনের একটি ডাকাত দল আমার গলায় ছুরি ধরে। তারা আমাকে বলে, “তোর কাছে যা আছে সব দে, তা নাহলে গলায় পোঁচ দেব।
৫ জনের মধ্যে ৩ জনের হাতে ছুরি ও ১ জনের হাতে রামদা ছিল।আমি ভীত হয়ে প্রান ভয়ে আমার কাছে থাকা নগদ ৮ হাজার টাকা ও জরুরী কাগজপত্র থাকা মানিব্যাগ ও পকেটে থাকা একটি স্মার্ট ফোন দিয়ে দেই।”
ডাকাতির শিকার হওয়া আরেক ট্রাক চালক দ্বীন ইসলাম জানান, “আমি বেনাপোল থেকে সুতা লোড করে মানিকগঞ্জ যাচ্ছিলাম।আমার ট্রাকটি শুক্রবার আনুমানিক সোয়া ৩ টার দিকে জমিদার ব্রিজ ও গোয়ালন্দ রেলগেটের মাঝামাঝি এলাকায় এসে স্কেলের সিরিয়ালে আটকা পড়ে। এ সময় প্রথমে দুইজন এসে বলে গাড়ির গেট খুলতে। এরা ডাকাত বুঝতে পেরে আমি হেলপারকে গেট খুলতে নিষেধ করি। গেট না খোলায় তাদের একজনের হাতে থাকা রামদা দিয়ে গেটের গ্লাসে কোপ মেরে গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে।
আমার সহযোগী এটা দেখে ভয়ে গেট খুলে দেয়। এ সময় আরো তিনজন আমার পাশে এসে ছুরি ধরে বলে শুয়োরের বাচ্চা যা আছে বের কর। এই বলে আমার কাছে থাকা ২ হাজার ২৭০ টাকা নিয়ে যায়। তারা এভাবে সিরিয়ালে আটকে থাকা আরো ৫-৭ টা পণ্যবাহী ট্রাক থেকে এভাবে ডাকাতি করে।
স্হানীয় মুদি দোকানি ওমর ফারুক খান বলেন, আমার দোকান মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত। গত বেশকিছুদিন যাবত দুই একদিন পরপরই চিৎকারের শব্দে জেগে উঠি।বাইরে বের হতেই চালক ও হেলপার ছুটে আসে। তাদের চিৎকার -আহাজারি শুনতে পাই।
শুক্রবার ভোরের ঘটনার পরও জেগে উঠি। এরকম ঘটনা এখানে প্রতিনিয়তই ঘটছে। মধ্যরাতে ডাকাত দল রাস্তার ঢালে ও গাছের আড়ালে লুকিয়ে থেকে সুযোগ মতো আক্রমন করে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদারসহ থানা পুলিশের একটি দল। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সেখানে টহলের ব্যাবস্থা করা হয়।
এদিকে মহাসড়কে প্রায় রাতেই এ ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও এ নিয়ে হাইওয়ে পুলিশের কোন মাথা ব্যাথা নেই বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ মোড় আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।তারপরও খোঁজ নিয়ে দেখব।তবে ওই এলাকাটি গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ দেখভাল করে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন,খবর পেয়ে আমি তীব্র যানজটের মধ্যেও ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এ সময় ভুক্তভোগী চালকসহ অন্যান্যরা মৌখিকভাবে ঘটনা জানান।তবে চলমান অবস্থায় থাকায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেননি।তারপরও খোঁজ নিয়ে অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments