শামীম শেখ, গোয়ালন্দ ( রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক পলাশ বেপারীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার (১অক্টোবর) বেলা সারে ১১ টার দিকে পূর্ব উজানচর জৈনুদ্দিন সরদার পাড়ায় নিহত পলাশের বাড়ীর সামনের সড়কে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে পলাশের পরিবারের লোকজন, আত্মীয় -,স্বজন ও এলাকাবাসী অংশগ্রহন করেন।
২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল তারিখ সকাল সারে ১০ টার দিকে পাশ্ববর্তী দরাপের ডাঙ্গী এলাকায় মরা পদ্মা নদীর পাড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে দূর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পলাশের মা ছকিনা বেগম বাদী হয়ে পরদিন গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ১ নং আসামি করা হয় উজানচর ইউনিয়ন যুবলীগের তৎকালীন আহবায়ক জিন্দার আলীকে। অন্যান্য আসামিরা হলেন
জিন্দারের সহযোগী জব্বার, আতিয়ার, নান্নু, জহুরুল, পাসান,আওয়াল, মারফাতসহ অজ্ঞাতরা।
মানববন্ধনে নিহত পলাশের বাবা এবি সিদ্দিক বেপারি ও মা ছকিনা বেগম বলেন, আমাদের ছেলে পলাশ উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিল। পরবর্তীতে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হয়। সে খুবই সৎ এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিল। যে কারনে জিন্দার বাহীনি তাদের পথের কাঁটা মনে করে পলাশকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
তারা বলেন, দীর্ঘদিন বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত থাকার পর বর্তমানে রাজবাড়ীর আদালতে পুনরায় এ হত্যাকান্ডের বিচার কার্যক্রম চালু হয়েছে।কিন্তু আসামিরা সাক্ষীদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাক্ষী দেওয়া থেকে বিরত রাখছে। মামলা তুলে নিতে তারা আমাদের এবং আমাদের পরিবার – পরিজনের উপরে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় টাকা-পয়সা দিয়েও আপস-রফার প্রস্তাব দিচ্ছে।
যে কারনে আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে আজকে মানববন্ধনে দাড়িয়েছি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশের বিচার বিভাগের কাছে এ নৃশংস হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার দাবি করছি। আর যেনো কোন মায়ের এভাবে খালি করতে পারে না।
নিহত পলাশের মেয়ে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী শানজিদা আক্তার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, “আমার বাবাকে যারা কুপিয়ে হত্যা করেছে,আমাকে এতিম করেছে,আমার মা’কে বিধবা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।”
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, পলাশ হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বাদী বা তার পরিবারের কাউকে কোন ধরনের হুমকি দিলে বা নিরাপত্তা জনিত সমস্যা হলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।