রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় চাঞ্চল্যকর রিয়াজ শেখের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নপূর্বক হত্যা চেষ্টা মামলার মূলহোতা মো: হুমায়ুন শেখকে (১৮) চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব -৮, সিপিসি-২, ফরিদপুর ক্যাম্প।
এ সময় হুমায়ুনের আরেক সহযোগী মো: ফরহাদ শেখ (২৫) কেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২ টায় র্যাব-৮, সিপিসি-২, ফরিদপুর ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন র্যাব-৮ ফরিদপুরের কোম্পানী অধিনায়ক শফিকুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃত আসামী মো: হুমায়ন শেখ গোয়ালন্দের উত্তর দৌলতদিয়া শামসুল মাস্টার পাড়ার হাশেম শেখ ও মো: ফরহাদ শেখ একই গ্রামের মো: সালেক শেখের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় জানানো হয়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় তথ্যর উপর ভিত্তি করে জানতে পারি প্রেমঘটিত কারণে গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া শামসুল মাস্টার পাড়ার মো: রিয়াজ শেখ (২৫) নামের এক যুবকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নপূর্বক তাকে হত্যার চেষ্টা করে উক্ত আসামীদ্বয়। উক্ত সংবাদ অবহিত হওয়ার পর বিষয়টি গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার মূলহোতা হুমায়নকে কুষ্টিয়া ও ফরহাদকে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামী হুমায়নের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, তার সাথে পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ভিকটিম রিয়াজের কারণে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়।
তারই প্রেক্ষিতে গত ৬ মার্চ দৌলতদিয়া রেলস্টেশন এলাকা থেকে সন্ধ্যায় রিয়াজকে ধারালো অস্ত্র (দা) দিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নপূর্বক হত্যা করার চেষ্টা চালায়।
এসময় আরো জানা যায় আসামী মো: হুমায়ুন শেখ বিভিন্ন অসামাজিক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। গত কয়েক বছর আগে সে নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলায় ১৪ দিন কারাভোগ শেষ করে বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে বলেও জানায় র্যাব -৮।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধৃত আসামীদেরকে রাজবাড়ীর রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার শিকার রিয়াজ শেখ (২২) দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোরাপ মন্ডল পাড়ার মো. বাবু শেখের ছেলে। বর্তমান রিয়াজ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রয়েছেন।