গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে, রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে টিসিবির পণ্য নেওয়া অত্যন্ত অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বুধবার( ২৩ই মার্চ) দুপুরে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ।
এ সময় ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি বার বার বলেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি রেশনিং করেন।
বঙ্গবন্ধুর আমলে ১৯৭৪ সালে ৩ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছিল অনাহারে। অথচ নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের হিসেব মতে ওই সময়ে সবচেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল। সুশাসনের অভাব, অনাচার, দুর্নীতির কারণে যাদের খাদ্য প্রয়োজন, তাদের কাছে খাদ্য পৌঁছায়নি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া তাঁর মানবিক অধিকার, নৈতিক অধিকার। এই হাইকোর্টেই আছে খুনের মামলা। এক রিকশাওয়ালা তাঁর স্ত্রীকে জবাই করায় তাঁর ফাঁসি হয়েছিল। তারপরেও কয়েক সপ্তাহের জন্য তাঁর জামিন হয়েছিল।
খালেদা জিয়া তো কাউকে জবাই করেননি। আমি মনে করি ন্যায়ের খাতিরে খালেদা জিয়ার জামিন দেওয়া উচিত এবং তাঁর বেরিয়ে আসা উচিত।
খালেদা জিয়ার জামিন চাইছেন কিন্তু মির্জা ফখরুল কিছুদিন আগে বলেছিলেন, জাফরুল্লাহ বিএনপির কেউ না। এমন মন্তব্যে সাংবাদিকদেরকে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল কি বলেছেন তাতে তো আমার কিছু করণীয় নাই। তাঁরা যদি হারিগিরি করতে চান, আমি কি বলব! আমি বলতে চাই, আন্দোলন করে দলীয় সরকারের অবসান ঘটাতে হবে। নির্বাচনে সবাইকে অংশ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে তাঁদের মেরুদণ্ড সোজা করে ন্যায়ের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাঁরা যদি তা ডেলিভারি করতে না পারেন তাঁদের পদত্যাগ করা উচিত হবে।’
উক্ত অনুষ্ঠানে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, বিশিষ্ট অনুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিইও ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, জাতিসংঘ জনসংখ্যা পুরস্কারে ভূষিত প্রথম বাংলাদেশি নারী ডা. হালিদা হানুম আক্তার, আলোকচিত্রশিল্পী হাসান সাইফুদ্দীন চন্দন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে উপস্থাপিত প্রথম বাংলাদেশি আলোকচিত্রী কে এম আসাদ প্রমুখ উপস্থিত।