মো. সাজ্জাদ হোসেন, গোয়ালন্দ প্রতিনিধিঃ ভাগ্য বদলের চেষ্টায় ভুট্টা চাষে সফলতার মুখ দেখছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষকেরা।
ফলন ভালো হওয়ায় এবং লাভের পরিমাণ বেশি থাকায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকসহ সৌখিন চাষীদের। অনেক কৃষকই এখন তাদের ফসলি জমিতে নিয়মিতভাবে ভুট্রা চাষ করছেন।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, এ বছরে রোগবালাই কম থাকায় ভুট্টার ফলন হবে অনেক ভালো সেচ খরচও কম হওয়ায় এবং বাজারে ভাল দাম থাকায় লাভবান হবে কৃষক । সেই সঙ্গে এক জন কৃষক ভূট্টা চাষে লাভবান হচ্ছে ত্রিমুখী ভাবে।
একদিকে বাজারে ভূট্টা বিক্রি হচ্ছে ভালো দামে অন্য দিকে ভূট্টার মুচি গুলো প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় আবার ভূট্টার গাছগুলো জ্বালানি হিসাবে বিক্রি হয়। সব মিলে এই উপজেলার কৃষকেরা ভূট্টার চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে দিনে দিনে।
উজানচরের নতুন পাড়ার ভূট্টা চাষী মো. জাহিদ সরাদার বলেন, গতবার বছরে দুই বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করেছিলাম তাতে ভাল দাম পেয়েছিলাম।
খরচ বাদেই অনেক টাকা লাভ হয়েছিলো। এই বছরে চার বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করেছি আশা করছি এবারো অনেক টাকা লাভ হবে। ভূট্টা ক্ষেতে মাঝে মধ্যে সেলো মেশিন দিয়ে পানি ও সার দিতে হয়।
এক থেকে দুই বার ভূট্টা ক্ষেতে ঘাস মারার জন্য কিছু কীটনাশক ছিটিয়ে দিতে হয়। এবার বেশি বৃষ্টি হওয়াতে মেশিন দিয়ে পানি দিতে হয়নি। প্রতি বিঘা জমিতে ভূট্টা উৎপাদন হয় ৩০ থেকে ৩২ মণ পর্য়ন্ত। আশা করছি সব মিলে এবার ভূট্টার বাম্পার ফলন হবে।
সৌখিন ভূট্টা চাষী রাসেল আহমেদ বলেন বলেন, আমি গত বছর সখের বশে বাহাদুরপুর এলাকায় আধা বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছিলাম তাই এবছর বানিজ্যিকভাবে লাভের আশায় বাড়ির সামনে নদীর উপারে তিন বিঘা জমি লিজ নিয়ে ভুট্টা চাষ করেছি।
আশা করছি ভালো ফলন হবে তাছাড়া ভূট্টা বাজারে সব সময় ভালো দাম থাকে। ভূট্টা দিয়ে খই হয় গো-খাদ্য, মুরগীর ফিট, মাছের ফিট, এবং পাপ্পন, আটা ইত্যাদি হয়ে থাকে। ধানের চেয়ে ভূট্টা চাষে কৃষকরা আগ্রহী বেশি কারণ এক বিঘা জমিতে ধানের চেয়ে ভূট্টা বেশি উৎপাদন হয় তাছাড়া পরিশ্রম খুবই কম।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. খোকনুজ্জামান বলেন, এ বছরে এই উপজেলায় মোট ২শত হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ভূট্টা চাষ হয়েছে।