27.9 C
Rajbari
রবিবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৪
Homeআন্তর্জাতিকশ্রীলঙ্কায় ৩৬ ঘন্টায় কারফিউ-বন্ধ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

শ্রীলঙ্কায় ৩৬ ঘন্টায় কারফিউ-বন্ধ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভয়বাহ অর্থনৈতিক সঙ্কটে থাকা পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ দমন করতে শনিবার সন্ধ্যা থেকে ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। সেই সঙ্গে বিক্ষোভের শঙ্কায় দেশটিতে বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

শনিবার ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইউটিউব চ্যানেল বন্ধের নির্দেশ দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। তারা বলছে, ভুল তথ্য ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের স্বাক্ষর করা নির্দেশনার বলা হয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া কোন নাগরিক ঘরের বাইরে যে কোন সড়ক, পার্ক, সমুদ্র সৈকত, রেলস্টেশনে যেতে পারবেন না।

এদিকে রোববার ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন নেটব্লকস এক টুইটে বলেছে, “রিয়েল-টাইম নেটওয়ার্ক ডেটায় দেখা গেছে, শ্রীলঙ্কা দেশব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশের সুযোগ বন্ধ করে রেখেছে।

খাদ্য ও জ্বালানি তেলের সঙ্কট, দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিংসহ রেকর্ড মূল্যস্ফীতিতে করুণ দশায় পড়েছে শ্রীলঙ্কা। ঋণের চাপে অর্থনীতি ভেঙে পড়ার দশা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছে তলানিতে।

এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু হলে কারফিউ জারি করে সরকার।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া কারফিউ চলবে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।পুলিশের মুখপাত্র নিহাল থালডুয়া বলেছেন, কলম্বোসহ পশ্চিম প্রদেশে কারফিউ ভঙ্গ করার অভিযোগে ৬৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সরকারের নির্দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।

দেশটির টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জয়ন্ত ডি সিলভা রয়টার্সকে বলেছেন, “প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিশেষ নির্দেশের কারণে অস্থায়ীভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে শান্তি বজায় রাখার জন্য এটা করতে হয়েছে।”

১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এখনই সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবেলা করতে হচ্ছে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপ দেশটিকে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments