
মো. সাজ্জাদ হোসেন-গোয়ালন্দ প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে ঘাট সংকট ও ডুবোচরের পাশাপাশি তীব্র সিরিয়ালের কারণে এ রুটে চলাচলকারি গাড়ির চালক ও যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ কয়েক গুন বেড়ে গেছে। ফেরিতে যানবাহন উঠানামায় ধীর গতি ও যানবাহনে বাড়তি চাপে দীর্ঘ সিরিয়ালের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া ৭ টি ফেরিঘাটের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ঘাট পূর্বেই বন্ধ ছিল, নতুন করে নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে ৬ নম্বর ঘাটটি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে।
বর্তমানে এ নৌবহরে ছোট বড় ১৮ টি ফেরি চলাচল করছে।
বর্তমান নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ফেরিঘাটের গাড়ী উঠা-নামার পকেট পথ গুলো নিচু হয়ে গেছে। ফলে যানবাহন লোড- আনলোড করতে দীর্ঘ সময় লাগছে।
সরেজমিনে বুধবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরোপয়েন্ট থেকে ঢাকা- খুলনা মহাসড়কে ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান ও যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সিরিয়াল রয়েছে। এছাড়া ঘাটকে যানজট মুক্ত রাখতে ঘাট থেকে ১৪ কিলো মিটার দূরে
রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ৩ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩ শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকে রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৬ শতাধিক যান আটকে রয়েছে টানা কয়েকদিন।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে আসা একে ট্রাভেল পরিবহনের সুপারভাইজার আলম খান বলেন, ভোর রাতে ঘাটে এসেছি ৫ থেকে ৬ ঘন্টা ঘাটে এসে বসে আছি, ফেরি পেতে আরো দু ঘন্টা লাগবে। এমনিতে রোজার মাস
তারপরে প্রচন্ড গরমে বাসের ভিতরে যাত্রীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বেশী ভোগান্তি হয়।দীর্ঘ সময় বসে থেকে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাটে সিরিয়ালে থাকা অপঁচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক চালক জানান, ঘাটে যানজট সৃষ্টি হলেই সব থেকে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের।
গোয়ালন্দ মোড়ে এসে দীর্ঘসময় সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পরে ওইখান থেকে ছেড়ে এসে আবার দৌলতদিয়া ঘাটের সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। দ্বিতীয় ধাপে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও অনেক সময় আমাদেরকে টার্মিনালে দিয়ে দেয়া হয়। দীর্ঘ সময়ে নদীপাড়ের অপেক্ষা করা আমাদের জন্য দুর্ভোগ।
জ্যামে আটকে থেকে অনেক কষ্টে সেহরি খেয়েছি, তারপরে বাথরুমে সমস্যায় পরতে হয়। এত কষ্ট করে গাড়ি চালাতে মন চাইনা। জানি ঘাটে আসলে এমন ভোগান্তি পোহাতে হবে, তার পরেও উপায় নেই, ঘরে বসে থাকলে তো পেট চলবে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কপোর্রেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্হাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্য চৌহান বলেন, এ নৌ- রুটে ১৮ টি ফেরি চলাচল করছে।
নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে পানির লেয়ার
নিচে নেমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলসহ লোড-আনলোড অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। এ ছাড়া কয়েকদিন ধরে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরিয়ালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে যাত্রীবাহী বাস ও কাঁচা পণ্য বোঝাই ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।