ডেস্ক রিপোর্টঃ বর্তমান সময়ে সরকারী চাকরীর পাশাপাশি বিশ্বকে জানার জন্য ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর প্রস্তুতির জন্য নিয়মিত বই পড়ার কোন বিকল্প কিছু নেই।
বই এমন একটি উপকরণ, যা একজন মানুষকে সহজেই আলোকিত করে তুলতে পারে।
শিক্ষার আলো, নীতি-নৈতিকতা-আদর্শ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সভ্যতা, সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ সবকিছুই রয়েছে বইয়ের ভেতরে।
একমাত্র বইয়ের মধ্যেই আছে সব ধরনের জ্ঞান। তাই জীবনের জন্য বই প্রয়োজন। প্রত্যেকের জীবনেই একঘেয়েমি, দুঃখ-কষ্ট, অস্থিরতা, মানসিক সমস্যাসহ নানা সমস্যা থাকে। কিন্তু বই পড়লে সেসব চিন্তা মাথায় থাকে না। অবসর সময়গুলো বিনোদনের মাধ্যমে কাটানোর জন্য কত কিছুই না আবিষ্কৃত হয়েছে পৃথিবীতে, কিন্তু বই পড়ার মতো নির্মল আনন্দের সমতুল্য হতে পারেনি কিছুই।
ধর্মের র্চচা মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জার বাইরেও করা চলে। দর্শনের চর্চা গুহায়, নীতির চর্চা ঘরে এবং বিজ্ঞানের চর্চা জাদুঘরে রোগের চিকিৎসা হাসপাতালে হয়। কিন্তু মানুষের মানসিক উৎকর্ষতা, কাজকর্মে সচ্ছতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, উন্নত জীবনযাপন— সর্বোপরি নিজেকে জানার জন্য চাই লাইব্রেরী। কারণ লাইব্রেরীতে বিন্যস্ত থাকে মানবসভ্যতার হাজার বছরের ইতিহাস। প্রাচীন শিলালিপি থেকে আধুনিক লিপির গ্রন্থিক স্থান লাইব্রেরী।
এ ছাড়া লাইব্রেরীতে নিয়মিত পড়ালেখার গুরুত্ব আসলে লিখে বোঝানো সম্ভব না। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের সফলতার প্রধান কারণ নিয়মিত লাইব্রেরীতে গিয়ে পড়ালেখা করা। ঢাকাতে দেখা যায় পাবলিক লাইব্রেরীতে একটা সীট পাওয়ার জন্য ফজরের নামাজ পড়ে সিরিয়ালে ব্যাগ রেখে আসেন, কেউ বা ব্যাগের পাশেই ঘন্টার পর ঘন্টা বসে বসে পড়েন এবং খেয়ে না খেয়ে সারাদিন লাইব্রেরীতেই লেখাপড়া করেন।
লাইব্রেরীর পরিবেশটা এমন যেখানে সবাই গভীর মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছেন, ম্যাথ সলভ করছেন, পত্রিকা পড়ছেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নোট করছেন, কেউ সমস্যায় পড়লে অন্যের কাছ থেকে সাহায্য নিচ্ছেন।
এসব বিষয় গোয়ালন্দের চাকরী প্রত্যাশীদের নির্বিঘ্নে পড়ালেখা করার সুযোগ করে দিতে গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি ক্লাব ও পাঠাগারের সহযোগিতায় ঠিক এমন একটা পরিবেশ তৈরি করার চেস্টা করছে।
আজ সোমবার (১১ জুলাই ) গোয়ালন্দের কিছু গুণীজনের উপস্থিতিতে গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি ক্লাব ও পাঠাগারে বিসিএসের সব বিষয়ভিত্তিক বই, মানচিত্র, খাতা ও কলম হস্তান্তর করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বারের উপস্থিতিতে উক্ত উপকরণ হস্তান্তর করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কামরুল ইসলাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কে.এ.মুহীত হীরা, ব্যবসায়ী মোঃ আলাউদ্দিন, অরুণ কুমার রাহা, ইঞ্জিনিয়ার ফকির আব্দুল মান্নান,
প্রফেসর ফকির মোঃ নুরুজ্জামান, আশরাফুল আলম, ফজলুল হক, জহিরুল হক লাভলু, নাসির উদ্দিন রনি, সিরাজুল ইসলাম, শোয়েব হাসান, ফকির সাইফুজ্জান সান্টু, রফিকুল ইসলাম, সানাউল হক রাব্বি প্রমুখ।
এসময় গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক শোয়েব হাসান বলেন, গোয়ালন্দের বিসিএস সহ সকল শিক্ষার্থী ও পরিক্ষার্থীদের জন্য গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি ক্লাব ও পাঠাগারকে আধুনিকায়ন করতে খুব দ্রুতই ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার ও প্রিন্টারের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে সকল শিক্ষার্থী ও চাকুরী প্রত্যাশীরা সকল প্রকার চাকরীর আবেদন, সিভি তৈরি এপ্লিকেন্ট কপি, এডমিট কার্ড প্রিন্টসহ শিক্ষা বিষয়ের যাবতীয় কাজ বিনামূল্যে করতে পারেন।
এসময় তিনি আরও বলেন লাইব্রেরীর সামনে পৌরসভার পক্ষ থেকে ড্রেনের কাজ চলছে, এই কাজ শেষ হলে লাইব্রেরী সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
জানা যায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সকলের জন্য লাইব্রেরী উন্মুক্ত থাকবে।