
মো. সাজ্জাদ হোসেন-গোয়ালন্দ প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সার বিক্রয়ে অনিয়ম ও পাচারের দায়ে ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করেছে ৪০ বস্তা ইউরিয়া সার।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গোয়ালন্দ বাজারের সারের ডিলার মেসার্স খন্দকার ফারুকের স্বত্বাধিকারী খন্দকার ফারুক নিয়ম বহির্ভূতভাবে নসিমনযোগে ৪০ বস্তা ইউরিয়া সার উপজেলার বাইরে বেশি লাভে বিক্রি করে পাচার করছিল।
খবর পেয়ে উপজেলা কৃষিদপ্তর মহাসড়ক হতে সার ভর্তি নসিমনটি আটক করে সারগুলো জব্দ করে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেনকে জানালে তিনি এসিল্যান্ড আশরাফুর রহমান এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ খোকন উজ্জামানকে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নামেন।
এ সময় তিনি বাজারের আড়ৎপট্টি এলাকায় অবস্থিত সারের ডিলার খন্দকার ফারুকের ভাড়া নেয়া আড়ৎঘরে থাকা সারের বিক্রি ও মজুদের হিসাবে গড়মিল সন্দেহে সেখানে থাকা ৬২ বস্তা সার হেফাজতে নেন।
এরপর বাজারের রেলস্টেশন এলাকায় থাকা ওই ডিলারের আরেকটি সারের দোকানে অভিযান চালিয়ে সারভর্তি দোকানটি সিলগালা করে দেন।
অভিযানের বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেন বলেন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ খোকন উজ্জামানের লিখিত প্রসিকিউসনের ভিত্তিতে আসামী খন্দকার ফারুকের বিরুদ্ধে আনীত লিখিত অভিযোগ গঠন করে পাঠ করে শুনালে তিনি অভিযোগ স্বীকার করেন।
অতঃপর তাকে মোবাইল কোর্ট আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তা ডিসিআর মূলে তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
এছাড়া জব্দকৃত ৪০ বস্তা ইউরিয়া সার সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমাদানের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
অপরদিকে ডিলার ফারুকের আড়ৎপট্টির ঘরে এবং রেলস্টেশন এলাকার ঘরে থাকা সারের হিসেব এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে আজ (মঙ্গলবার) পরিক্ষা-নিরিক্ষা করা হচ্ছে। কোন গড়মিল পেলে ডিলারের বিরুদ্ধে পুনরায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, সার নিয়ে যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ বিষয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ, উপজেলা আনসার সদস্য ও গোয়ালন্দ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সহযোগিতা করেন।