34.1 C
Rajbari
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
Homeরাজবাড়ীটিকা নিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন, ভোগান্তি

টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন, ভোগান্তি

 


মইনুল হক মৃধা-বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসেছে কোভিড-১৯ টিকা নিতে। দ্বিতীয় ডোজের এই টিকা নিতে এসে শিক্ষার্থীরা নানা বিড়ম্বনায় পড়েছে। উপজেলার টিকাকেন্দ্রে টিকা নিতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।

সরেজমিনে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন গিয়ে দেখা গেছে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় তৈরি হয়েছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস থেকে স্কুল-কলেজ- মাদ্রারাসার ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা রাখতে তাদের কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলার ১২-১৮ বছর বয়সের শিক্ষার্থীর প্রথম ডোজ সম্পর্ণ হবার পর এখন দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা হচ্ছে। এতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, কওমী মাদ্রাসা, কলেজসহ ২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীসহ ছাত্র-ছাত্রীর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ শেষে এখন এ সকল শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হচ্ছে।

টিকা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা বলেন, টিকা দিতে সকাল ১০ টায় আসছি। দেড় ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে জানি না। যদি আমাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে টিকা দিত তাহলে এত কষ্ট করা লাগতো না।

ছেলেকে টিকা দিতে নিয়ে আসা এক অভিভাবক বলেন, ছেলের টিকা দিতে আসলাম। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে করতে ছেলে ক্লান্ত হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধিরও কোনো বালাই নেই। আর এই ভিড়ের মধ্যে তো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভবও না। সরকারের টিকা কেন্দ্র আরও বাড়ানো উচিৎ। তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিও কমবে এবং স্বাস্থ্যবিধিও রক্ষা হবে।

শারমিন আক্তার নামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বলেন, দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে ৫ কিলোমিটার দূর থেকে এসে প্রায় ৩ঘন্টা যাবৎ অপেক্ষা করছি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও এটা ভালোলাগছে যে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সকল শীক্ষার্থীদের জন্য মহামারি করোনার টিকা ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন। এজন্য যতসময় লাগবে টিকা নিয়েই বাড়ীতে যাবো।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, গোয়ালন্দ উপজেলায় ২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২হাজার শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের ফাইজার টিকা দেয়া হচ্ছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গণটিকা দেয়ার ওই দিন শিক্ষার্থীদের টিকা দেবার তারিখ থাকায় সেই দিন ওমিট করে পরবর্তীতে টিকা দেবার কারণে একটু চাপ হয়েছে।তবে দুপুর পর্যন্ত এ চাপ থাকবে না। উপজেলার সব শিক্ষার্থীরাই করোনার টিকা পাবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা প্রদানে যতেষ্টভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলায় একটি এসিরুম থাকায় একটু চাপ বেড়েছে। এছাড়াও ফাইজার টিকা এসিরুম ছাড়া দেয়া যায়না। টিকা প্রদানে আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল রয়েছে। আশা করছি কোন সমস্যা হবেনা।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments