বিশেষ প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ভাতাভোগী ১১ জনের হঠাৎ সরকারি ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তাদের ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।
বাকি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফেব্রুয়ারি মাসের সরকারি ভাতার টাকা ফেব্রুয়ারি ব্যাংকে ঢুকেছে। ভাতাভোগী ১১ জনের দাবি, তাদের ভাতা পুনঃরায় চালু করা হোক।
বুধবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাকের কার্যালয়ের সামনে তারা মাননবন্ধন করেন। মাননবন্ধন শেষে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য আসাদুজ্জামান চুন্নু,
শিল্পী বেগম, হাবিবুর রহমান হীরা, ফিরোজ শেখ,হাফিজুর রহমান,লিবা আক্তার প্রমুখ।
এ সময় তারা বলেন ইতিমধ্যে যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেছে তাদেরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। রাষ্ট্র যখন ২০০ টাকা করে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেয়। তখন থেকেই এই ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাওয়া শুরু করে।
তাহলে এখন যাচাই-বাছাইয়ের নামে কেন এই ১২ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা কে ভাতা থেকে নাম বাদ দেয়া হবে। অবিলম্বে এই ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা চালুর দাবি জানান তারা।
হঠাৎ মুক্তিযুদ্ধ ভাতা থেকে বঞ্চিত তারা হলেন, গোয়ালন্দ উপজেলার মরহুম জালাল উদ্দিন মিয়া, ইউসুফ আলী শেখ, আবুল কাশেম, মরহুম আঃ করিম, আঃ আজিজ, বদির উদ্দিন শেখ, আঃ সাত্তার মিয়া, আঃ হাকিম, নিকার আলি, সোবাস বিশ্বাস ও আনছার আলী।
এসময় মাননবন্ধনে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করে বলেন “আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ভাতা চালু করা না হলে আমাদের আত্নহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই”।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আঃ সামাদ মোল্লা মুঠোফোনে জানান, গোয়ালন্দ উপজেলায় যে ১১ জনের মুক্তিযোদ্ধার মাসিক ভাতা বন্ধ হয়েছে সেটা আমি শুনেছি, কিন্তু কি কারণে বন্ধ হয়েছে সেটা আমি জানিনা।
এটা মন্ত্রনালয়ের সচিবরা বলতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, আর আগে একবার বন্ধ হয়েছিলো পুনঃরায় আবার চালু হয়েছে, আবার শুনি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে যেকোন ফয়সালা করেই বন্ধ করা উচিত।